প্লেজার প্যারাডক্স



যেমন স্থাপত্য

দুপরের রোদ জানলার গ্রিলে দূরাগত কামানের গোলার মতো

লেগেছে

পুরোপুরি ফোটোগ্রাফ
সিমেন্টের দাগ নেই
লোহা ছেঁড়া নয়

ভারতীয় জীবনের ১ ফালি যেমন
ইরানের ইটে লাগে ক্রিয়াশীল থাকে




অবাস্তব ভ্রমণ কাহিনি

ফারাওয়ের ঈর্ষায় আমি এ পাড়ার ছেলে
ভেসে যাচ্ছি নীলনদে ফলের ঝুড়িতে

জলপাইবন নাকি জলপ্লাবন
জলের ধ্বনিতে ঠিক শুনতে পাচ্ছি না




যখন শুতে চাই

হাতের মুঠোয় জেদি কঠিন তর্কাতীত সবুজ ১ স্ফটিক

সবুজ ১ স্ফটিক আমার হাতে আসছে না

অতটা সবুজ হয়ত না পেলেও চলে

পোড়া ছায়ার পেছনে যে একা ফুটে আছে
অমন ১ উদাসীন

গণিকা খুঁজছি




ভৌগোলিক

চাঁদ ওঠে তাই তুমি ফুল ফুল শাড়ি পরে আছো

স্তন পাছা ঠোঁট চিবুক
সবই তো ঠিকঠাক আছে যে যার জায়গায়

পৃথিবীও আছে তার মাদী আর মদ্দাদের পয়মন্ত টানে

পৃথিবীর ব্যবস্থা দেখে অবাক হয়ে ভাবি
জীবনের নিখুঁত মাংস কোথায় রাখা আছে

সমুদ্রের কৌটোয় নাকি পাহাড়ের খাপে

পাত থেকে ছিটকে যাওয়া আধভাঙা
ভাতটির শাপে





শিকারের মহাকাব্য

অনেক চাওয়া অনেক পাওয়া
সব ছাড়িয়ে মিলে যায়

হরিণ খরগোশ শিকার

আর ভূতপূর্ব হরিণের খরগোশের মাংসকে খাওয়া


                                                            চিত্র- অনুপম মুখোপাধ্যায়



7 comments:

  1. শতানীক রায়May 4, 2020 at 2:04 AM

    খুবই ভালো লাগল। বোধ কোন অনন্য শিখরে পৌঁছোলে একজন কবি এরকম কবিতা লিখতে পারে। এটা বিস্ময়ের। কবি যে চিরকাল বিস্ময়ে অভিভূত না হয়ে তাঁর জীবনের নানা কিছুকে শান্ত ও তীক্ষ্ণভাবে দেখে এটা সত্যিই একরকমের ভাববার বিষয়। আপনার কবিতা আমাকে সত্যি অভিভূত করে।

    ReplyDelete
  2. অভিষেক নন্দীMay 4, 2020 at 2:22 AM

    অসাধারণ লেখা। আপনার দর্শনবোধকে ঈর্ষা করা যায়। ‘অবাস্তব ভ্রমণ কাহিনি’ একটি মাস্টারপিস

    ReplyDelete
  3. মান্টি অধিকারী দত্তMay 4, 2020 at 2:43 AM

    "পৃথিবীর ব্যবস্থা দেখে অবাক হয়ে ভাবি
    জীবনের নিখুঁত মাংস কোথায় রাখা আছে

    ReplyDelete
  4. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  5. শুভদীপ নায়কMay 4, 2020 at 6:44 AM

    অনবদ্য লেখা সবকটি । অাবার নিজেকে নতুন করে সাজাচ্ছ যেন । উত্তর আধুনিকতার কাঠামোকে ভেঙেচুরে ফিরে এসেছে আবার সেই পুনরাধুনিক ফর্ম । যদিও পুনরাধুনিক কোনও ফর্ম নয়, ফর্ম ভেঙে লেখাকে মুক্ত করাই হল পুনরাধুনিক পথ । কিছুদিন তোমার অন্যরকম লেখা পড়ছিলাম । সেই লেখার ডাইমেনশান থেকে সম্পূর্ণ সরে এসে এই লেখাগুলো রচিত । এই বদল সম্ভব হয় সেই কবির মধ্যে যে নিজেকে সাহস করে ভাঙতে পারে । কারণ ,সে নিজেকে পুনরায় গড়ে তোলবার ক্ষমতা রাখে ।

    ReplyDelete
  6. শুভংকর গুহMay 4, 2020 at 7:50 AM

    অনেকটা চিহ্নের মতো গড়ে উঠছে শব্দ। এতদিন জেনে এসেছি কবিতার গোছানো শব্দ বিন্যাস যেমন পরিপাটি থাকে, এই লেখাগুলি তেমন নয়। গুণ থেকে নির্গুণ করার এ অনন্য প্রয়াস। মূর্তি সেই গড়তে পারে নিজের ওয়ার্কশপে যে নির্মাণ ভাঙতে পারে। এই প্রথম ইরানের ইট শব্দটি কেমন যেন চমকে দিল।

    ReplyDelete
  7. ভালো লাগলো কবিতাগুচ্ছ

    ReplyDelete