দেশ ও কবিতা
একটা
কবিতা প্রধানমন্ত্রীর নার্ভাস চোখের চেয়ে বেশি দেখতে পায়
কবিতার
অপেক্ষায় আছে একটা দেশ
রাস্তায়
মানুষের গু পড়ে আছে
পশুর
হাড় পড়ে আছে
ঐতিহ্য-টিহ্য না হয় বাদ
দিচ্ছি আপাতত
আকাশের
একটা গ্রহকে নক্ষত্র বলে ভুল করছে কেউ কেউ
কিংবা
ওটা ধূমকেতু
কিংবা
স্বপ্নে বুঁদ কোনো দেবতার জিভ
একটা
রাক্ষস নাকি একবারই মরে
রাক্ষস-রাক্ষসী আর দেব-দেবীর গল্প
বাংলার
কৃষ্টিরই অঙ্গ
অন্ধদের রূপকথা
ছুটন্ত
আকাশ জুড়ে খেলা করছে মেঘ
এই
দৃশ্য দেখব না বলে কি আমাকে
চোখ
দেওয়া হয়েছে
সোনার
কাঠিতে আগুন লাগলে
বৃষ্টিতে
ঘরপোড়া গন্ধ ভেসে আসে
মাংসের
নশ্বর অংশকে মেঘ বলা হয়
সৌন্দর্যে
ডুবে উঠে দাঁড়াচ্ছে
অন্ধদের
রূপকথাগুলো
মানুষের জন্মপ্রক্রিয়া
সাপ
হল একরকমের ধাবমান জল
তুমি
ভিজে ওঠার আগেই সে
লুকিয়ে
পড়ছে ঘাসে
হাই
টেনশন তারের উপর পাখি বসে আছে
বিপদ
নেই
মরার
ঝুঁকি নেই
গভীর
রাতে আঁশ সরিয়ে তুমি ঢুকছ
মৎস্য
অবতারে
পশুর
প্রতি ভালবাসা
এও
তো মানুষেরই জন্মপ্রক্রিয়া
শিকারের রাত
শিকারের
রাতে আমাদের ভালবাসা হবে
আমি
তোমাকে ভালবাসতে চাই
দূরে
যখন বাঘ ডাকবে তোমার হাত বেঁধে দেওয়া হবে
এই
তো আমি ভালবাসছি তোমাকে
তোমার
শুরুতে অরণ্য তোমার শেষেও অরণ্য
জ্যোৎস্নার
বাঁক আলগা করছে নতুন একটা চাঁদ
শিকারের
রাত কেটে গেলেও
তোমাকে
ভালবাসা হবে
অমরতার স্বাদ
জল
জমে আছে টিলার ঢালে
শুকনো
পাতায়
এই
সত্যের তুমি ভাষান্তর করো
পাগলের
মতো যারা স্তন কামড়ে ধরে
তাদের
ড্রয়ারে কিছু চিঠি পুড়ে গেছে
তোমার
মধ্যে আমি অমরতার স্বাদ পেয়েছি
টিলার
ঢাল পেয়েছি
জল
পেয়েছি
তোমার শরীর
তোমার
শরীর আমার প্রিয়তম শব্দ
টেবিলের
ওপর খোলা আছে
১০০
বছরের পুরনো একটা বই
বইয়ে
যদি বাতাস না ঢোকে
তার
সব অক্ষর দুর্বোধ্য চিহ্ন হয়ে যায়
একটা
জংশন আর একটা গ্রাম্য স্টেশনের মাঝখানে
সুড়ঙ্গ
পেরোচ্ছে আমার ট্রেন
তোমার
শরীর আমার প্রিয়তম শব্দ
কেবল
তোমার দাঁতের ছবি দিয়েই
একটা
পূর্ণদৈর্ঘ্যের সিনেমা বানানো যায়
পূর্ণদৈর্ঘ্য
কাকে বলে
আমি
জানি
তুমি
জানো না
[চিত্রঋণ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]
চমৎকার। চমৎকার লাগল এই গুচ্ছ।
ReplyDeleteপড়লাম
ReplyDeleteভালোলাগল বরাবরের মতোই। "অমরগার স্বাদ" দারুণ
ভালো লাগলো!
ReplyDelete