চিত্রপরিচালক ইঙ্গমার বার্গম্যানকে নিবেদিত পুনরাধুনিক কাজ



।।
এখানে নৈঃশব্দকে কাটা হয় রোমহীন শান্ত কাঁচি দিয়ে মদ্দা শব্দগুলোর
লোম। মাদী শব্দগুলোর লোম। উল হয়। সেলাই করা বাক্যের
পোশাক। কতদূর শীতরক্ষা করে। হাড্ডিসার অপেক্ষার দিকে
এগিয়ে যাচ্ছে সোমত্ত সংসার। ১ চামচ কাফসিরাপ নিয়েযে ওষুধ
রোগী বাঁচায় চোখ বাঁচাতে পারে নাযে কুকুর ইহা হয় তিনি হয় না
ঈশ্বরের মৃত্যু হলে তিনি বেঁচে থাকেছেঁড়া কাগজে কেঁপে যায় কবিতা ও
মাকড়সার রোমশ ঠ্যাঙফণা চাপানো মুখ
তিনি হতে আড়াল লাগে কিকৃতজ্ঞ করবে। কৃতজ্ঞ হবে। এই
ধারার মধ্যে। ফাগুন মাসের সিদ্ধান্তগুলো। বৃক্ষকে জড়িয়ে ধরার
ইচ্ছায়গুনের চেয়ে উজ্জ্বল হয়ে বাঁচার ইচ্ছায়। ঝুলে থাকে
মসিহাময় সাদাকালো তিনিএলোমেলো তর্জনীর আলোয়। মুখে জড়ানো
রক্ত চুলে জড়ানো রক্ত। কোনো প্রিয় রূপ কেন কীর্তিতে
ধরে না যোনি থেকে যে জল গড়ায়পদ্মদিঘির গাঢ় বিষ। তাকে আর
রং মিলিয়ে অশ্রু ডেকো না
বাচ্চাদের খেলায় হেরে গেলে বুড়োদের মুখ গোমড়া হয়। সুহৃদের
বুকে জিতে গেলে মানুষ জ্যোৎস্না হয়ে যায়। দুধ ঘিরে বসে আছে
মাননীয় বেঁটে সভ্যতা। মেধা আর ক্ষুধার মধ্যে খেলছে যে শিশু তার মা কি
অন্যদের শিশ্ন মুখে নেবে। আলো জ্বেলে সেক্স করে না মা। শ্রান্ত গ্রামে
মধ্যরাতে। ঢুকে আসছে ট্যাঙ্কশিশু কবে ভুলে যাবে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা
শ্রীকৃষ্ণের পা থেকে খুলে যাবে ক্রুশনাই মা সময় অযথা রমণে
ভয় লাগে অযথা ভ্রমণেপবিত্র পুকুরে তবু মধ্যমা ডোবাই
প্রেমশহরে শ্রেষ্ঠতার কোনো জায়গা নেই। চাকার উপর বাক্স
লাগাও। গাড়ি। কাঠুরেদের জন্য ১ গাছ লাগাও। নারী। মেয়েদের
গরম শিকড় তুমি বুঝিয়াছ। দুঃখের আরেক নাম ট্যাক্সনখ না কাটলে
থুতু আসে মুখে। দাঁত না মাজলে হৃদয় ফেটে যায়। কালো পাহাড়ের
মাথা ভেঙে দীপ্তিমান সূর্য জেগে ওঠে। শিশুর ঝাপসা দুধ
বিহ্বল কাচঅনুভূতির ভাষাকে কেউ কেঁদে উঠে ছিঁড়তে পারল না
ছন্দ রুখে দাঁড়ায় আকাশের প্রতি। সত্যে লাগে সুন্দরের খোলস
স্তনের পাশে ঘুমোতে যা শান্ত ১ বালককুঁকড়ে। শুয়ে। সুগন্ধের
ধারণা তো এই। বালককে স্তন দেখালে বিছানার ময়লা
কমে যায়। ভিড় হাল্কা হয়। যক্ষ্মারোগীর বুকের সিঁড়ি
উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। স্তন দেখাও। স্তন দেখাওবিবেকরাজপথে
ভেসে উঠুক ডুবোজাহাজগুলো। জ্যান্ত মুখের চেয়ে তো
দৃশ্য কিছু নেইকড়ে আঙুল না উঠিয়ে হিসি করে দিই। রাজার কার্পেটে
।।

(প্রকাশিত- 'কবিতীর্থ'। বার্গম্যান সংখ্যা)

1 comment: