ড্রাগনফ্লাই : ১টি মহাকবিতা

 


One must still have chaos in oneself to be able to give birth to a dancing star. (Nietzsche)

উৎসর্গ- কবি পবিত্র মুখোপাধ্যায়

 

গোধুলির পৃথিবীতে জেগে উঠে তুমি

সকালের বন্ধুকে কেন খুঁজে পাবে

প্রেমে বিজ্ঞপ্তি দিলে জীবনে রংচটা

মলাট খুলে যায়

নিজের বিচারবুদ্ধি নিয়ে একা হতে হতে

পুকুরে ফড়িং যত দূরে

আকাশে ড্রাগনফ্লাই যত dragonfly

বুক থেকে নেমে আসুক স্বচ্ছল প্রার্থনাগুলো

বই থেকে খসে যাক প্রাসঙ্গিক অনুচ্ছেদগুলো

মহত্বের বিষয়ে ধারণা মহত্বের চেয়ে আর

কম কিছু নয়

 

আগুন জ্বলে আছে

বাচ্চারা উঠে গেছে হাত সেঁকতে সেঁকতে

কী যে একা সাংঘাতিক আগুন জ্বলে আছে

জ্বালানির বেদনা আর সংবেদন ফুঁড়ে

আগুনের কন্ঠ থেকে

পাগলা বাঘের মতো

তাপ বয়ে আসতে চাইছে

আমাদের প্রসারিত হাতের ভিতর

 

হাত আমাদের হাত

আমাদের শৈশব হারিয়ে যাওয়া নাবালক হাত

প্যাকিং বাক্সের পৃথিবী আর আমাদেরই চামড়ায়

সিরিয়াস ওয়াটারপ্রুফ

উত্তর-উপনিবেশের এই কালান্তরে

পৃথিবীর কোন দিকে বাইবেল আছে

পৃথিবীর কোন দিকে উপনিষদ আছে

কোনদিকে কোরান আর ত্রিপিটক

জ্ঞানের পাকা ফল মৃদু তার বোঁটা

বোঁটা ঘিরে কালো রং আবছা হয়ে ক্রমে

সারস্বত সাধনার শেষ হাঁস উড়ে আসে

ফোঁটা ফোঁটা রস ঝরে হাঁ করা মুখে

পেরিয়ে অবান্তর বন্দুকের আওয়াজ

 

যত্ন করে সেলোটেপ লাগাও

মরা প্রজাপতির পাখায়

চওড়া চওড়া সেলোটেপ লাগাও

ঈশ্বরের বেকুব হাসি আদমের মুখে

ঈশ্বরের মাতাল লিঙ্গ ঈভের ক্লিটোরিস

এই কি তোমার আত্মজীবনী

গরীবের বাড়িটি যত অতিথিবৎসল

গরীবের নিমেষ তত নয়

সমতল জীবন বরাবর

দীপ্যমান যশস্বী বালি ছড়ানো আছে

কে যে ছড়ালো

জাহাজডুবির আগে লেখকের বন্ধু এসে

মাস্তুলে হ্যাংলামোর বজ্র রেখে যায়

কে কাকে পেল আর কখন হারালো

আঙুরের আলো থেকে রহস্য আর কিছু

শার্লক হোমস

যে কোনো রাস্তাই শেষে

বেকার স্ট্রিটে যাবে

221B পাবে

সংসারের অর্থহীন ক্রোধ বরাবর

তুমি আমি হেঁটে যাবো অপরাধী তামাকের দিকে

 

যে জন অসুস্থ নয় তাকে তুমি সুস্থ মানো কি

কাঠামো মেরে কাঠামো ভাঙছ

বেরিয়ে আসছে ভাষার ব্যবধান

কতটা ইংরেজি আজ কতটা বাংলা

কতটা বাংলা আজ কতটা হিন্দি

তুমি কি আজও কিনারার মৌতাত বোঝোনি

মিতবাক লোকেরাও গান ভালবাসে

যে লোক হেঁটে যায় স্বর্গের দিকে

সে তো দেবদূতের চেয়েও মহৎ

যে লোক পড়ে যায় স্বর্গ থেকে নীচে

ঈশ্বরও তার ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকেন

এমন কোন ভাই আছে বোনের লিঙ্গের কথা

একবারও ভাবেনি

এমন কোন বোন আছে ভাইয়ের যোনির কথা

একবারও ভাবেনি

 

ঋতুরক্ত চেটে নেয় ফাঁকা সিনাগগ

 

নিজেকে ভেঙে ফেলা আমার স্বাধীন ইচ্ছা নয়

নিভিয়ে দেওয়ার পরে আগুনের

উত্তাপ বোঝা যাচ্ছে

উঁচু অক্ষরগুলো ফুলকির পোকায় কেটেছে

ব্যাধ আর ব্যাধির মধ্যে

আহত ডানায় মাখা মায়াময়তায়

১ চরিত্র যদি হঠাৎ মরে যায়

সে তো তার বেয়াদব লেখকের দোষ

ঘসে মাজা পানপাত্রে চোখ পিছলে যায়

ফুলের বন্ধু হলেই বাতাসের বন্ধুত্ব মেলে না

 

আমি ঠিক অতদূর অসামাজিক নই

 

তোমার খিদে একদিন তোমাকেই শাস্তি দিয়ে যাবে

নীতির বিপক্ষে নিজেকে রক্ষা করতে হবে

মিথ্যার স্বপক্ষে নিজেকে রক্ষা করতে হবে

তুমি উঠবে বলে কি বৃষ্টি থেমে যাবে

যাকে বিদ্বেষ করো তাকেও ঠকাবে

সাদা গোলাপ নাসপাতি নীল সরোবর

এইসবে ঠেস দিয়ে পৃথিবী দাঁড়িয়ে

এইসবে নখ রেখে বোকা মুর্গিটি

প্রত্যেক ঠোকরে খুদে পোকা তুলে নেয়

যে রোদে পড়ে আছে রোদেরই ছায়া

আর কোথাও পৌত্তলিক ঝর্না থেমে আছে

নিঃশ্রেয়স টিলায় পাথরে

 

নিজের বিচারবুদ্ধি ছাড়া অন্য কোনো বন্দিত্ব নেই

তবু ভয় কীসের ভয়

রাষ্ট্র ধ্বংস হওয়ার আগে খবর পাবে তুমি

দেশ নষ্ট হওয়ার আগে খবর পাবে তুমি

পৃথিবী বানচালের আগে খবর পাবে তুমি

ট্যারো কার্ড তো বলে দেবে বাঁচবে কতদিন

কবে একাকার হবে জেলে ও ধীবর

ঘুমের বাইরেও থাকে নিরিবিলি গ্রাম

অবসরের নেশা

স্বপ্নের বাইরেও থাকে কিছু হৈচৈ

কবেকার বালিকার শবদেহ ছিঁড়ে

বিকালের সূর্যে ডুবে যায়

অকারণ ভয়ের কারণ

 

বাকি সব অস্ফূট কথা

পথে যত দ্বিধা থাকে পথ তত লম্বা হয়ে আসে

রোদে যার অসুখ করেছে

জলে যার পা হেজে গেছে

তারই লম্বা হাতে ভাষা ও ভাষান্তরে স্বপ্ন ধরা আছে

তারই কাঁপা কাঁপা হাতে শীর্ণ আঙুল

নেশার অনির্বচনীয় সিরিঞ্জ ধরা আছে

কেন তার ভ্রুণ দশা অক্ষয় হল না

কেন তার অবসাদে মহাকায় ট্রেন এসে দাঁড়ায়

কেন তার মৌমাছি অনাবিল স্টেশন পেল না

মনোমতো

 

পেরিক্লিস চেয়েছিল মনীষী হবে

বোনাপার্ট চেয়েছিল মনীষী হবে

হারাধনও চেয়েছে মনীষীই হবে

মরুভূমিতে ফেটে যাওয়া একলা যে বোমা

আজ সেই মনীষীর দম বোঝা যায়

মনীষী সেই শব্দ

জীবনের পরিশীলিত গাঁড় মেরে দিয়ে

ঠান্ডা ঘাসের ফাঁক দিয়ে উঁকি দ্যায়

মনীষীর উছ্রিত কদাকার মুখ

যথা শ্মশানের সুখ

পরিচয়হীন গরম

ঠান্ডা বাঁধের গায়ে আচমকা বন্যার জল

কুকুরের করোটির চোখে ঢুকে যায়

 

তার চেয়ে হয়ে ওঠো লিরিকের কবি

যে কোনো মুহূর্ত তোমার শাশ্বত হোক

আকাশ স্পিড তুলছে মেঘের সাপেক্ষে

ফুলের মধ্যে হাত ডুবিয়ে বিন্যাস তুলে আনো

নজর আন্দাজ করো কাগজে কাগজে

তোমার এলাকায় আমার এলাকায়

কায়রোর ইস্কুল আর ব্রাসেলসের কলেজ

ব্রেজিলের বিকিনি আর সৌদির হিজাব

চার্চের গা থেকে খসা মসজিদের পাথর

ঈশ্বর যা খাওয়ার জন্য দিয়েছেন

রবীন্দ্রনাথ তাই লেখার জন্য নিয়েছেন

সেই বিষই তো শ্রেষ্ঠ যার দাম বেশি নয়

সেই বিষই তো অমৃত যা সর্বোচ্চ দামী

 

তুমি কী

তোমার তো শিশির মাপে হিসি ধরা থাকে

 

হাত চিরন্তন মানুষের ভগীরথ হাত

লেখক ১ ক্ষুধার্ত মানুষ

দস্তয়ভস্কির চোখ আর নিজের চোখ দ্যাখো

কত ফারাক মানুষে দেবতায়

পাপ আর অপরাধে কত যে ফারাক

মন যদি গরীব হয় মনের কী দোষ

কাল যা দেউল ছিল আজ তা মন্দির দূরে সমুদ্রপাখির

ভাঙা ইট পেরিয়েও সারাদিন বিগ্রহ উড্ডীন থাকে

বিগ্রহের পতন নেই শুধু কিছু মন্দিরে পূজা থেমে থাকে

 

ক্লিটোরিসে ক্লিটোরিসে ঘুরে

স্তন চুষে যোনি চেটে

সব তেষ্টা ঝরে গেলেও

কামনা বাসনা সব ঝিমিয়ে গেলেও

আত্মীয়ার ধানক্ষেতে সাবধানে যেও

বান্ধবীর ধানক্ষেতে সাবধানে যেও

প্রজনন ছাড়া যেখানে যৌনতা নেই

প্রসব ছাড়া যোনি নেই

দুধ ছাড়া স্তন নেই

হঠাৎ হতেই পারে অপরূপ সর্পপ্রমাদ

 

তুমি কি মাতাল না কি সম্রাট পুরুষ

যে কোনো মুকুটে থাকে রাংতার আভাস

চিরকালীন হাবা মানুষরা

আন্তর্জাতিকভাবে যত স্থির শিক্ষিত

বাইরে যখন ফ্রাংকফুর্টের কালো পাতা ঝরছে

সোনারং রোদ তখন বীরভূমের সিলিং-এ এসে স্থিত

টালির চালে লেগে আছে পুরুলিয়ার বৃষ্টি বিস্মৃত

গোলাপকে হারিয়ে দিচ্ছে কুলেখাড়ার ফুল

জুলিয়েটের দুই পায়ে হেঁটে যাওয়া চুল

পাটক্ষেতে পাওয়া গেল

উলঙ্গ নরম

 

তুমি হয়ত ততটা গরীব

চোখের জল ফেলতে ফেলতে

সূর্যঘড়ির দিকে স্থবিরভাবে চাও

ধর্ষণ আর খুনের দৃশ্যে

চোখের জল মুছতে মুছতে

মনগড়া স্তনের দিকে যাও

চা খেতে খেতে আধঘন্টা দায়সারা কথা বলে নাও

গ্রীষ্মকালে রাতের আকাশ ঝকঝকে থাকে

গ্রীষ্মকালে নাট্যজন তোমার কাছে এসে

শ্রাবণের কোরাসে শীৎকার শেখে

 

তুমি কি তেমন গরীব

তাহলে নামিয়ে দাও রোমান নাটক

ক্যালিগুলা নাম শুনে হাঁদা মনে হয়

ইরোটিক সিনেমার রোমান সম্রাট

বোকাচোদা লোক ভাল চোদাচুদি করে

সন্ধ্যার স্তব্ধতায় সকালের অচল রিক্সা

প্যাডেলের নৈঃশব্দ নিয়ে

রেডিওয় যুদ্ধের খবর পড়ছে

জেনে নিচ্ছে শূন্য কাকে বলে

ঘুমোতে যাওয়ার আগে কম্বলের বোধ

জলের উপর শুয়ে অলস গোড়ালি

শূন্য কাকে বলে শীত কাকে বলে

খুব বেশি বৃষ্টি হলে গ্রীষ্মকালে শীত পড়ে যায়

কামুক মেয়েদের যে বুক ফুলতে থাকে

সে কেবল স্তনের জন্য নয়

জেগে ওঠার মুহূর্তে জাহাজের ডেকে

নাবিকের বেআবরু চোখ কোকিল হয়ে যায়

 

তুমি কী

তোমার কি সম্ভ্রান্ত যৌনরোগ আছে

আছে না কি গলিকোণ

চোরা চাকুওলা

তোমার বাগানে তবে আজ আর যাব না

জানি তো পাব না

মা-মরা মেয়েদের অলৌকিক চোখ

আজকের বাগবাজারেও

সনাতন রমণীরা হাগবার আগে

আঙুলে নিজ নিজ নাক টিপে ধরেন

 

জীবন প্রায়ই ১ সমকামী ত্রিভূজ

যে মেয়ে তাকে রজনীগন্ধা দ্যায়

তার কাছেও সে চেয়ে নেয় রজনীগন্ধার ডাঁটা

খলহাস্যে ব্যঙ্গময় মুখে

অমন রূপান্তর কি শুধু থিয়েটারে হয়

অনুকরণ প্রতিরূপ জীবনের ছবি

অচেনা পড়শির ঠোঁটে শীতকালীন পাখিদের ডাক

গিরীশবাবু কি তার হদিশ পেয়েছিলেন

বিনোদিনীর ব্লো-জব চেয়েছিলেন কি

 

জীবনের গভীরে আছে

মধুপুর স্টেশন

জীবনের গভীরে আছে

কাঁচালঙ্কার বিচি

জীবনের এপারে আছে

শ্রমিকদের ক্লাস আর

বিড়িখোর কৃষকের কাঁচা শ্বাসরোধ

শিশিরে ভেজা চট যাত্রার আসরে

হৃদয় কাঁপছে যত চিন্তার চাপে

সূর্যোদয় বুঝিয়ে দেবে স্মৃতির জ্যামিতি

সূর্য যে শিল্পী নয় ভুলেও বোলো না

 

সত্য আর কিছুই নয় লেবাননের মেয়ে

সত্য আর কিছুই নয় বাদামগাছের শ্রমিক

সত্য আর কিছুই নয় সুইজারল্যান্ডে জন্ম

সত্য আর কিছুই নয় বাঁকুড়ার মানুষ

মেদনিপুরের শারদ লেখক

কলকাতার চেয়ে আজও অবহেলিত

কিছুটা চিন্তার সুতো কিছুটা খোরাক

একদিন এই সময় নিওলিথ হবে

পায়রা পেরিয়ে যাবে আকরিক লোহা

সকালের প্রাতরাশ শিরার আলোয়

সুগন্ধী পানীয় যথা কুসুম গরম

ঘুরে যাও দূরে যাও কী আসে যায়

 

যে কোনো কথায় তাই নির্লজ্জতা মেশাই

এমন কোনো পুরুষ নেই

যাকে কখনও নারী ভাবিনি

এমন কোনো নারী নেই

যার মধ্যে আমি আজও পুরুষ দেখিনি

বহেনচোদ বৃদ্ধটি কলতলায় বসে

আউরতের পোঁদ দেখে মিটিমিটি হাসে

ছায়ায় পিতলমূর্তি এঁটো বাসনের

থালা থেকে উড়ে যায় সাবেকি পাঁউরুটির গুঁড়ো

এমন মুনাফা আমি আজও দেখিনি

যার নীচে ইতরের বনিয়াদি কারখানা নেই

 

যে কোনো গুঞ্জনে আজ স্বপ্নের শতাংশ মেশাই

ছাপাখানার আড়ষ্ট বাতাস মনে রেখে

যে কোনো আদরে মেশাই হত্যার শতকরা রং

জনতার আদালতে ফেলে দিই প্রেম

ফেলে দিই ঘৃণা

বাড়িওলা ওথেলো আর ভাড়াটে হ্যামলেট

অকস্মাৎ শায়া তুলে লেডি ম্যাকবেথ

লিয়ারের মুখে মুতে দ্যায়

কবিতার বিপক্ষে নয় এমন মানুষ

ক্ষুধার বিপক্ষে নয় এমন মানুষ

আজও কোনো কবিতা লেখেনি

 

পৃথিবীর বুকে তুমি ছুরি মেরে দ্যাখো

মাটি ছাড়া কিছু কি উঠে আসবে

উঠে আসবে কি ইয়েতির রক্ত

ইয়েতির বাস এখানে এই গ্রামে

ইয়েতির বাস এখানে এই শহরে

ইয়েতির বাস এখানে এই কবিতায়

আমার হয়ে ইয়েতি কবিতা লিখছে

 

কবিতার ইতিহাস ইয়েতিপ্রবণ

 

রোদ যত গাঢ় হয় শহরের ইতিহাস ম্লান হয়ে আসে

যে লোক গরীব নয় সেও আজ উজ্জ্বল নয়

তারপরেও হাঁসের ডিম আর কাঁচা দুধের গন্ধ

ধানের রক্ত মাখা কাস্তের বাঁট

মিহি বৃষ্টিতে যে ধান কাটা হল

পচা খড়ে সুস্বাদু ছাতু

গভীর বৃষ্টিতে যে খড় পড়েছিল

চাকরি ছেড়ে দ্যায় মায়াবী জাদুকর

কৃষককে ঈর্ষা করে কর্পোরেট কর্মীর উদ্বিগ্ন জীবন

দূরের জঙ্গল থেকে হাতির মৃতদেহের

উর্বর গন্ধ ভেসে আসে

বিবেক ঝাঁকিয়ে ওঠে চোরাশিকারীর

অচেনা কৃষকটি ট্র্যাক্টর থামিয়ে

বিপ্লবের রংচটা পতাকা তুলে নেয়

 

২০২০-তে এসব বিরল ব্যাপার

 

তবু একেকটা বিরল জীবন

আর তার আপাত সরল প্রকাশ

মানুষের জীবন একেকটা এভারেস্ট

কে তার বিকাশ মাপে

কে মাপে তার বিপজ্জনকতা

কোথায় কোন ফাটলে

কোন মৃত আরোহীর শক্ত কাঠ লাশ

নরম কঙ্কাল হয়ে যথারীতি অব্যাহতি পেল

রক্তের ভিতর হাড়ের ভিতর মাংসের ভিতর

অগণিত এভারেস্ট

অজস্র এভারেস্টে এই গ্রহ

সিমুলেশন

চমৎকার সজারু হয়ে আছে

 


6 comments:

  1. কাপালিক দুহিতাApril 11, 2021 at 10:59 PM

    খুব ভালো লাগল কবিতাটি। টানা একই সুর বহমান। অনেকদিন পর ভালো একটি দীর্ঘ কবিতা পড়লাম।

    ReplyDelete
  2. ভীষণ ভালো লেখা । অনেকদিন পরে তোমার একটা দীর্ঘকবিতা পড়লাম । মুগ্ধ হয়ে গেলাম । অসম্ভব গভীর একটা লেখা ।
    ।। শুভদীপ নায়ক ।।

    ReplyDelete
  3. সোজাসাপটা গেঁথে গেল , ধারাল ছুরি জ্বলে উঠছে যেন স্তরে স্তরে।বিপজ্জনক সব পংক্তি ,শব্দের খেলা আর অন্ধকার উঁচিয়ে ধরা মুহুর্মুহু।
    দুর্দান্ত লেখা । আপনার লেখা পড়লে অ্যাড্রিনালিন রাশ' হয়।

    ReplyDelete
  4. একটা যাত্রার মত, বাঁকে বাঁকে চমক।

    ReplyDelete
  5. খুব ভালো লেগেছে। মুগ্ধ হয়ে গেছি।

    ReplyDelete