পলাশীর যুদ্ধ
।
উড়ছে মীরজাফরের। বাষ্প
শীতের বাতাসে চাঁদ
।
কাচশহরে দুলে উঠছে ঘর
থেমে যাচ্ছে ফ্লাইং বেগম
।
সিরাজের পিঠে চাপ
।
নাকি
।
চাপের পিঠে সিরাজ
।
জ্যোৎস্নার। ডোরাডোরা হলে
জগৎ লাফিয়ে পড়ছে
।
জল। দাম। ভাতকাপড়
।
প্রচ্ছদের ভাষায়। কথা বলছে বই
কীভাবে লেখা হচ্ছে। ১ আকাশ গল্প
।
১ দিনে ভাগ হচ্ছে। জায়গাজমি
চালের টিন। মানতাশা। রুপোর
ধুকধুকি। আর মল
।
কী অসীম উচ্চারণ-ভঙ্গি
।
জলের দাম। জলের দাম
চেঁচিয়ে উঠছে হাওয়া
।
এই যে হাল
ভালো। খারাপ
ভাতকাপড়ে টান
।
এই যে
।
লেখকের সই নিচ্ছে পাঠক সমাজ
।
লক্ষ্মীর পাঁচালি
।
কথামতন। লক্ষ্মী সাজাচ্ছি
।
মাংসের উপরে ১
হাড়ের উপরে ১
।
পায়ের গোছ। থেকে
ঘর খুলে যাচ্ছে
।
লক্ষ্মীর সঙ্গে হচ্ছে লক্ষ্মী নিয়ে কথা
।
মৌচাকে। রাণী
বদলে যাচ্ছে
।
সকাল
।
সকালকে। ছেড়ে যাচ্ছি সকাল সকাল
আমার ভেতর পুড়ে যাচ্ছে
।
মেধা নাকি। সকালই তো ঘুরে যাচ্ছে
নাগরদোলা যথা
।
হাট নাকি। গদ্যগুলো
কবিতায় ঢাকা
মাঠ নাকি। না চাইতেই
শব্দ উঠে আসছে
।
ছাঁচে ঢালার অনেক আগে। ধাতু
ঢালাই হচ্ছে
।
আমি। ছাঁচ পেরিয়ে
রোদে ঢুকছি
।
একা
।
সূর্যলেবু
।
কমলালেবুর খিদে। আর
কমলালেবুর তেষ্টা
।
কমলালেবু শুনলে নাকি। লজ্জা
পাচ্ছে লোক
।
মাংস। তার দাঁত খুলতে চাইছে
হাড়। তার ম্যারো লুকোতে চাইছে
।
ভোর। ভোর
ভেঙে যাচ্ছে সূর্য
।
তেষ্টা বললে তেষ্টা
লজ্জা বললে লজ্জা
।
পাচ্ছে। পেয়ে যাচ্ছে
।
ক্ষেতখামার
।
।
ক্ষেতের চেয়ে। অনেক বেশি
খাতায় তাদের দাম
খাতায় তাদের নাম
।
ধানবাদ। আর সাবধানের
মধ্যে কাস্তে চলে
পাওয়ার টিলার চলে
।
রোদের নীচে শব্দের রং
নীল
।
ফসল কি তার নামের বেশি
ফসল। কি তার দামের চেয়ে
মিহি
।
মন্থন
।
আমার ফুলের ভয়ে স্টেশনের। সব কিছু গাছ
দাঁড়িয়ে পড়েছে। কিছু বিষ
ফিরে গেছে
।
গরম। ক্রশিং
।
টেনে আনা স্তনে ১টা পাঁজর লেগে। আছে
।
দড়ি টানাটানি চাপ
তোমরা এবার
পাহাড়ের। চেয়ে বেশি
উঁচু করে দাও
।
যত চাও দেবতা। বানাও
।
১০ মাস ১০ দিন
।
তোমার গান নড়ছে। কিন্তু
আমার পা নড়ছে না
।
এই। ঘটনার দুঃখ
।
সিঁড়ির পাশের জানলা থেকে
গ। ড়ি। য়ে। গ। ড়ি। য়ে। প। ড়। ছে
।
আকাশে ফুটে উঠছে
১-এর পর
১
আঙুলকাটা নখ
।
তোমার কবিতা খেলায় শব্দ ভাঙনের ভেতর যে মর্মও মর্মান্তিক ভাবে বেজে ওঠে। কিছুতেই বেরোতে পারি না। আমাদের কোনো অদৃশ্য ভাষা আর লুকোনো দুয়ার খুলে যায়।। ক্রিয়াগুলি প্রক্ষিপ্ত হয়েও আবিষ্ট সংশ্লেষ দান করে। দেখারাও না দেখা হয়ে যায়। শস্যগুলি প্রশস্য হয়ে ওঠে। ভেঙে যায় দিনপাতের পদ্ধতিও। এসব কবিতা পাঠের জন্য নয়, দেখার জন্যও একটা আলাদা চোখের দাবি করে।
ReplyDeleteঅনুপম।
ReplyDeleteরইলো একরাশ ভালোলাগা।
ReplyDeleteসব কবিতাই আসাধারণ । তবে তিনটে কবিতা ফাটাফাটি
ReplyDeleteহ্যাঁ । এই কবিতাগুলোকে অসাধারণ বলতেই হয় । এরকম কবিতা আর কেউ লেখেন না । লিখলেই মনে হবে অনুপমের নকল ।
ReplyDeleteকবিতা জিনিসটাই অস্বাভাবিক। আর কোনও শিল্প মাধ্যম এতটা অস্বাভাবিকতা ধারণে বহনে সক্ষম কিনা জানি না। তোমার কবিতা পড়লে সেই প্রিয় অস্বাভাবিককে টের পাই। যা এই ক্রম স্বাভাবিক বিশ্বে হাতে গোনা। তো, যা বলছিলাম, কবিতা জিনিসটাই অস্বাভাবিক। কবির দক্ষতায় যাকে স্বাভাবিক দেখায়। মনে হয় আরে! এ তো আমাদেরই লোক। আসলে তা নয়।
ReplyDeleteভালো লাগলো
ReplyDeleteঅনুপম দা'র কবিতা পড়তে সময় লাগে না, কিন্তু যদি জিজ্ঞেস করা হয় কেমন লাগলো তাহলে সময় লাগে। হয়তো আরও একবার পড়ে আসতে হয়। কেন? এটা কোন কথা হলো! ভালো না খারাপ এর বাইরেও অনেক অনুভূতি আছে। কবিতা আসলে তাই, কবিতা পড়ার পর যে ঘোরটা তৈরি হয়।
ReplyDeleteভালোবাসা,
ReplyDeleteভালোবাসা
অভিনন্দন
best best best ..
ReplyDeleteএরম গুচ্ছ থেকে যাবে... অসম্ভব কবিতা।এই যে তোমার গান নড়ছে আমার পা নড়ছে না, এর ভিতরে একটা খারাপ বোকা সময়কে তুলে দেওয়া যায়... অসংখ্য মনের রস এর মধ্যে আছে, বার বার ফিরে আসতে হবে এখানে। @ অভিষেক ঘোষ
ReplyDeleteযতদিন যাচ্ছে, অনুপম আরও অনুপম হয়ে উঠছেন। শব্দ ব্যবহার আর পঙক্তি ভেঙে ভেঙে অন্য এক কাব্যজগত্ তৈরি হচ্ছে, অতি সহজে যেখানে ঢোকা যায় না, আর একবার ঢুকে পড়লে বেরোনোও কঠিন। শুভেচ্ছা অনেক অনুপম।
ReplyDeleteনতুন প্রজন্মের একমাত্র পথপ্রদর্শক ।।
ReplyDelete